কিভাবে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায়

আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায় । 

একজন উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় কে না জানতে চায়। নিজের ক্যারিয়ার চারুরী ছেড়ে উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যকুলতা অনেকের মধ্যেই কাজ করে। একটি সফল প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা কখনোই ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিলে চলে না। একটি উদ্যোগকে সফল ব্যবসায় রুপান্তর করতে প্রয়োজন হয় সুন্দর একটি আইডিয়া এবং অক্লান্ত পরিশ্রম। 

তাই আসুন আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায় অর্থাৎ একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সঠিক উপায় এবং কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার কৌশলঃ

একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে যে জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে –

উদ্যোগ গ্রহণ করার সাহসিকতাঃ

সবার প্রথমে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য চাই সাহসিকতা। উদ্যোক্তা হতে হলে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে। পাশাপাশি ঝুঁকি গ্রহণের সাহস ও মানসিকতা থাকতে হয়। একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য যদি ধৈর্য ও ঝুঁকি নেবার মানসিকতা ও সাহসীকতা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ব্যবসায়ে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।

ইতিবাচক মনোভাব পোষণঃ

ব্যবসা শুরুর আগে মনে রাখতে হবে, ব্যবসা করতে গেলে ঝুঁকি থাকবে। আর এ ঝুঁকি থাকার এবং ঝুকিপূর্ণ কাজ গুলো খুব সহজে সম্পাদন করতে পারবেন তার ইতিবাচক মন-মানসিকতা থাকতে হবে।

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ গ্রহণঃ

আপনার উদ্যোগের মতো হয়তো অনেকেই এই রকম উদ্যোগ গ্রহন করেছে কিন্তু আপনি ভয় পাচ্ছেন আপনি পারবেন কিনা কিন্তু এমন ভাবলে হবে না আপনাকে আপনার উদ্যোগকে সফল করতে আপনাকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে আর ভাবতে হবে আমি পারবোই এবং আপনি তাদের থেকে আলাদা তা আপনার খুজে বের করতে হবে।

সফল উদ্যোক্তাকে বহু সমুদ্র যাত্রার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ ও ঝানু নাবিকের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। যিনি ভবিষ্যতকে দেখতে পান। সব ব্যবসায়িক সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে সর্বোত্তম উপায়ের সমাধানের পথ খুঁজে বের করেন।

উদ্যোগের জন্য মূলধনঃ

সর্বোপরি উদ্যোগের শুরুতেই নিশ্চিত করতে হবে প্রয়োজনীয় মূলধন। বিশেষ করে প্রথম বছরের সব খরচ এবং বিনিয়োগের পুরো টাকাই থাকা চাই একজন উদ্যোক্তার হাতে। পরবর্তী বছরগুলোর জন্য হয়তো এনালাইসিস করে বাজেট বৃদ্ধি কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা যায়।নির্ধারণ করে আপনি ব্যবসার আয় থেকেই সব খরচ নির্বাহ করতে পারবেন। এছাড়া বাংলাদেশের অনেক সরকারি, বেসরকারি ব্যাংক, এনজিও তৈরি আছে আপনাকে সাহায্যের জন্য। এর মধ্যে অনেক বছর ধরে এসএমই বা ক্ষুদ্র ঋণের মাধমে শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য কিছু বেসরকারি ব্যাংক বিভিন্ন রকম সাহায্য করে আসছে সেগুলোর একটা তথ্য উদ্যোক্তাদের আগেই নিয়ে রাখা উত্তম।

পণ্য সেবার প্রচার প্রসারঃ

আপনি যে উদ্যোগই নিন না কেনো আপনার পণ্য বা সেবার সঠিক নিয়মে প্রচার প্রসার না করলে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ না করতে পারলে আপনি কখনোই উদ্যোগের সফলার চেহারা দেখতে পাবেন না তাতে আপনি যতই মূলধন নিয়ে ব্যবসা করতে নামুন না কেনো। তাই আপনাকে আগেই পণ্য সেবার প্রচার প্রসারের একটি পরিকল্পনা ছক রেডি করে নিতে হবে এবং তার জন্য আলাদা বাজেট রাখতে হবে।

আয়-ব্যয় হিসাব নিকাশঃ

আপনি প্রতিদিন কি পরিমান বিক্রি করবেন এবং তার ক্রয় মূল্য এবং বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ পূর্বেই করে নেয়া জরুরি এবং সে অনুপাতে প্রতিদিন আপনার পণ্য ক্রয় উৎপাদন খরচ যাই হোক তার সঠিক হিসাব আপনাকে রাখতে হবে এবং দু-একদিন পর পরেই ব্যাংকে টাকা জমা প্রদান করে রাখা উত্তম এতে ভবিষ্যতে আপনার ব্যাংক থেকে ঋন সুবিধার জন্য অনেক সহায়তা করবে।
পরিশেষে বলতে চাই আপনি যে উদ্যোগ ই গ্রহন করেন তাকে ব্যবসায় রুপান্তর করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা না করে নামলে আপনি সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। আর নিজের আত্ব বিশ্বাসের যায়গা টা অনেক বড় করুন অবশ্যই পারবেন।

আর্টিকেল টি পড়ে ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন অন্য উদ্যোক্তাদের মাঝে।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,761FollowersFollow
0SubscribersSubscribe

Latest Articles