মানসিক চাপ কমানোর পন্থা

মানসিক চাপ কমানোর পন্থা



মানসিক চাপ কমানোর পন্থা

মানসিক চাপ কমানোর পন্থা

আমরা আজকে উদ্যোক্তাদের জন্য আলোচনা করবো মানসিক চাপ কমানোর পন্থা নিয়ে কারন উদ্যোক্তারা অনেকেই মানসিক চাপ নিয়ে তার উদ্যোগ কে সফলার দিকে নিয়ে যেতে পারে না। এই আর্টিকেল টি উদ্যোক্তাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।

বর্তমান পৃথিবী শুধু জটিলই নয়, তাতে যোগ হয়েছে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির পালাবদল এবং তথ্য ও যোগাযোগের অবিরত ধারা। সেই সাথে রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাজারে আমাদের টিকে থাকার লড়াই। আমরা সবাই অল্পতে বেশি কিছু করতে চাই, এটাই সত্যি। আর এই বিষয়টিই আমাদের কাজে স্ট্রেস তৈরি করে থাকে। আমরা সবাই আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে ভালটা করতে চাই কিন্তু তারপরও মাঝেমধ্যে সিস্টেম ভেঙ্গে পড়ে, মানুষ ভেঙ্গে পড়ে আর তাতেই স্টেসের উৎপত্তি ঘটে।

যদি আপনি একজন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তাহলে আপনি জেনে থাকবেন কাজের চাপ কতখানি হতে পারে এবং অর্থ বিনিয়োগের ঝক্কি-ঝামেলা সম্পর্কে। আর যদি আপনার ভাগ্য ভাল থাকে আর আপনি গ্রাহক পেয়ে যান, তাহলে আপনাকে আবার উচ্চ প্রবৃদ্ধি নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে। যাই হোক না কেন, কাজের মাঝে চাপ থাকবেই। স্ট্রেস কাটিয়ে উঠতে এখানে কিছু টিপস তুলে ধরা হলঃ

কৌশলগত পরিকল্পনা করুন।

যখন কাজ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে, তা আসলে হয় প্রতিদিনকার নিষ্ক্রিয়তার ফলে। এর কুফল কাটানোর জন্য, এক কদম পেছনে যেয়ে চিন্তা করে নিন। সব বিভ্রান্তি থেকে দূরে যেয়ে আপনি বা আপনার টিম এক হয়ে ব্রেইনস্ট্রোর্ম, কৌশল ও পরিকল্পনা ঠিক করে নিন।

ব্যবসায় আনন্দ খুঁজে নিন

যখন কাজের অনেক চাপ থাকবে, তখন আপনার টিমকে নিয়ে কোথাও খেতে চলে যান। বিরতি নিন, একটু ঘুরে বেড়ান। হয়ত এতে আপনার কাজের দেরি হবে কিন্তু এর ফলে আপনার যে মনোবল বৃদ্ধি পাবে তাতে আপনি কাজ অনায়াসেই সেরে নিতে পারবেন।

শেষ মূহুর্তের জন্য কাজ ফেলে রাখবেন না

আপনি এই ব্যাপারটি সব সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না ঠিকই তবে চেষ্টা করলে তা অসম্ভব নয় আর এটি নিয়ন্ত্রণ করা যতটা কঠিন মনে হবে আসলে তা কিন্তু ততটা নয়। আগেভাগে কাজ শেষ করে রাখলে আপনি আরো বেশি রিল্যাক্স করার সুযোগ পাবেন এবং তা আপনাকে বিস্মিত করবে।

অন্যকে দোষ দেবেন না

নেতারা উচ্চ পর্যায়ে কাজ করতেই পারে, কিন্তু নিজের টিমকে অনুৎসাহিত করে তো কোন লাভ নেই। নিজের চাপ যদি পরিবার ও বন্ধুদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে দিন শেষে আপনি একাকীই থেকে যাবেন। যদি আপনি চাপ সামলাতে না পারেন তাহলে কোন একভাবে তা আপনাকে বের করে দিতে হবে।

স্ট্রেসকে বের করে দিন

ক্যাফেইন আপনার মুডকে ভাল রাখবে এবং দিনের কাজে গতি আনতে সাহায্য করবে। চা খেলেও আপনার মন চাঙ্গা হয়ে উঠবে। তবে এগুলো বেশি বেশি করলে সুফল ততটা হবে না। এজন্য ব্যায়াম করতে শিখুন, ধ্যান করুন, বাইরে ঘুরুন, নিজে নিজে কিছু বানান, কোন খেলায় অংশ নিন বা কারো সাথে কথা বলুন – যেটা আপনার কাজে আসে।

দরকার হলে কঠোর পরিশ্রম করুন, এমনিতে নয়।

বিজনেস হুটহাট করে হয়। হয়ত আপনি কোন পণ্য বানাচ্ছেন বা বিজনেসের প্রসার করছেন, এর মানে কিন্তু এই নয় যে আপনাকে সারাক্ষণ এগুলো নিয়েই পড়ে থাকতে হবে। যখন দরকার হবে তখন কঠোর পরিশ্রম করুন আবার কাজ শেষ হয়ে গেলে পর্যাপ্ত বিরতিও নিতে হবে।

সময় এলে কাজের হাল ছেড়ে দিন

যখন আপনি অধিক চাপ ও কাজের ফলে পরিশ্রান্ত হয়ে যাবেন, তখন আপনার মাথায় আর কোন আইডিয়া আসবেনা, সেই সময় আপনি হাল ছেড়ে দিন। সত্যি সত্যি কাজের হাল ছেড়ে দিন, বাড়ি ফিরে যান বা অন্য যা ইচ্ছে হয় তাই করুন। যখন আপনি রিল্যাক্স করতে পারবেন, তখনই আপনি কাজের অনুপ্রেরণা পাবেন।

Related Post

মেয়েদের জন্য নতুন ব্যবসার আইডিয়া

মেয়েদের জন্য নতুন ব্যবসার আইডিয়ামেয়েদের জন্য নতুন ব্যবসার আইডিয়া



মেয়েদের জন্য নতুন ব্যবসার আইডিয়া আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করবো মেয়েদের কিছু নতুন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে যা সবার নতুন ব্যবসা করার জন্য উত্তম একটি আর্টিকেল। পড়ে ভালো লাগলে অন্যদের

কিভাবে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায়কিভাবে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায়



আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায় ।  একজন উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় কে না জানতে চায়। নিজের ক্যারিয়ার চারুরী ছেড়ে উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যকুলতা অনেকের মধ্যেই কাজ করে। একটি